পাহাড়ি খাবারের স্বাদে ‘ক্রা লাক সো’ বা ব্যাম্ব-চিকেনের রেসিপি



পাহাড়ি খাবারের স্বাদে ক্রা লাক সো
 
মারমা ভাষায় এ খাবারের নাম, ‘ক্রা লাক সোআমার যতদূর মনেপরে স্থানীয় চিটাগং ভাষায় এটার নাম মুরগি গুথানি। তবে খাগড়াছড়ির সিস্টেম রেস্তোরাঁর যে ছেলেটা আমাদের খাবার সার্ভ করেছিলো উশাইনু মার্মা ও বলেছে খাবারটার নাম ক্রা লাক সোযার কিছুই আমরা বুঝিনি পরে ওকে বললাম এটার নাম কি গুদানি নাকি অন্য কিছু? তারপর ও বলল এটা গুদানি না গুটানি কারণ এটা ঘুটে ভর্তা বা রান্না করা হয়। কিন্তু মার্মা উচ্চারণে যা দাঁড়ায় মুরগি গুথানি। যা সারা দেশে ব্যাম্ব চিকেননামে পরিচিত।
পাহাড়ের মানুষের কাছের বাঁশের নানা পদের খাবার থাকলেও সমতলের মানুষের ব্যাম্ব-চিকেন বা বাঁশের ভেতরে রান্না করা মুরগির মাংস বেশ জনপ্রিয়। কাঁচাবাঁশের দারুণ ফ্লেইভার বিমোহিত করবে ভোজন রসিকদের। এছাড়া ব্যাম্ব-চিকেন রান্নার পুরো প্রক্রিয়া হয় বাঁশের মধ্যে।
খাগড়াছড়ির সিস্টেমরেস্তোরাঁর রেসিপিতে এই ব্যঞ্জন তৈরির পদ্ধতি আজ আপনাদের জানানো হল ক্রা লাক সোবা ব্যাম্ব-চিকেনের রেসিপি।

উপকরণ :
কাঁচাবাঁশ তলানিতে জয়েন্ট (গিরা) থাকতে হবে।
মোরগ ১ কেজি।
বিভিন্ন মাংসের মসলার মিশ্রণ ৪০/৫০ গ্রাম।
রসুন ১ চা-চামচ।
জুমের কাঁচালংকা ৫০ গ্রাম (তবে এই মরিচ বেশ ঝাল। কমিয়ে দিতে পারেন)।
আদা ১ চা-চামচ।
হলুদ ও লবণ পরিমাণ মতো।
কাঁচাপেঁয়াজ-কুচি ২/৩টা
সাবারাং (পুদিতা) পাতাও দিতে পারেন।


প্রনালি : মাংস ভালো ভাবে ধুয়ে সব মসলা মাখিয়ে মেরিনেইট করে রাখতে হবে প্রায় ২০ মিনিট।
তারপর মাংস বাঁশের ভেতর ডুকিয়ে দিন। তারপর শক্ত কিছু দিয়ে একটু ভালো মতো ঘুটে দিন। (যদি হাড় ভাঙতে না চান তাহলে ঘুটার দরকার নেই)
তারপর কলাপাতা দিয়ে ভালো করে বাঁশের মুখটা বন্ধ করে দিতে হবে।
জ্বলন্ত কাঠের কয়লার আগুনে বাঁশটা ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রাখুন।
বাঁশ হালকা পোড়া পোড়া হওয়া পর, কয়লা থেকে বাঁশ উঠিয়ে ভেতর থেকে রান্না হওয়া মাংস বের করে গরম গরম পরিবেশন করুন।

Comments